Introduction of Basic মৌলিক ধারণা

Introduction of Basic

১. উৎপাদন ও উৎপাদনের উপাদান (Production and Factors of Production ): উৎপাদনের ধারণা সম্পর্কে অর্থনীতিবিদদের মধ্যে মতভেদ আছে। প্রাচীন অর্থনীতিবিদদের মতে বস্তুগত প্রব্য সৃষ্টিকে উৎপাদন বলে। এই অর্থে চয়ার, টেবিল তৈরিকে উপাদানের পর্যায়ভুক্ত করা যায়। কিন্তু আধুনিক অর্থনীতিবিদদের মতে উপযোগিতা সৃষ্টি করাকে উৎপাদন বলে। এই সংজ্ঞা অনুযায়ী কৃষক, শ্রমিক, ডাক্তার প্রভৃর্কির শ্রম উৎপাদনশীল, কারণ এদের শ্রম সমাজের উপযোগিতা সৃষ্টি করে।উংপান করার জন্য যে সমস্ত ফিনিসের প্রয়াজেন হয়, তাকে উৎপাদনের উপাদান বলে। অর্থনীতিতে উৎপাদনের উপাদানগুলিকে চারটি ভাগে ভাগ করা হয় বমি বা ভূমি (Land), শ্রম (Labour), মূলধন (Capital) এবং সংগঠন (Organisation)|

২. ফার্ম ও শিল্প (Fin and Industry) : দ্রব্য ও সেবাকার্যের উৎপাদনের জন্য যে অর্থনৈতিক একক দেখা যায়, তাকে ফার্ম এ উৎ। প্রতিষ্ঠান কলা হয়। ফার্মের আয়তন ছোট হতে পারে বা বড় হতে পারে। যেমন একজন চার্থী, গল্প জমি চাষ করে, তাকে ফার্ম বলা যায়। আবার কোনো তাতি যে নিজের ঘরেই চরকা চালায়, তাকেও ফার্ম না যায়।

এছাড়া বাটার জুতোর কারখানা, হাওড়া জুট মিল ইত্যাদি হল। মামের উদাহরণ একই ধরনের দ্রব্য উৎপাদনকারী সমক্ত মর্মের সমষ্টিকে বলা হয় শিল্প। যেমন, লৌহ ও ইস্পাত শিল্প, কলা শিক্ষ, তুলাবস্তু শিল্প ই:1ণি সুতরাং তুলন্ত শিল্পের ক্ষেত্রে এক একটি কাপড়ের মিল হল এক একটি সগম। যেমন, বলক্ষ্মী টন মিল এবং মন্তু কাপড়ের মিল নিৰ বস্ত্ৰ শিক্ষ।

৩ ভারসাম্য (Equilibrium) : মর্থনীতির একটি গুরুত্বপুর্ণ মৌলিক ধারণা হল ভারসাম্য। যে অবস্থা থেকে পবিণনের কোনো প্রবণতা থাকে না, তাকে ভারসম্য বলে। অর্থাৎ যে অবস্থায় বিপরীতমুখী পরিবর্তনকারী শন্নিগুলি সম্পূর্ণভাবে সমান হয়, তাকে সাম্য বলে। অর্থনীতিতে বিচ্ছিন্ন ধনে গুণিসম্য নিয়ে আলোচনা ঝরা হয়। যেমন, এর ভারসামা তব ভারসামা লতে বোঝায় এমন। একটা অবস্থা যেখানে সে সর্বাধিক তৃপ্তি পায়। মিঃ দুরকমের হতে পারে, একটি হল আংশিক ভরসাস (Partial equilibrium) এবং অপরটি হল সামগ্রিক ভারসাম্য (General equilibriu)। ‘ছাত্রসম্য বিশ্লেষণে অনান্য বিষয়গুলি অপরিবর্তিত দলে শ্ৰদনৈতিক ব্যবস্থার খান |কটি অংশের ভারসাম্য আলোচনা করা হয়। যেমন, ক্রোঁর জায়নামা, ফার্মের বা ‘উৎপাদকের ভারসাম্য ইত্যাণি। অপরপক্ষে সামগ্রিক ভারসাম্য বিশ্লেষণে ব্যর্থব্যবস্থার সমস্ত অংশের ভারসাম্য আলে| করা হয় এবং অংশের ‘রসাম্য সাথে নিলিন্য হয়। সুতরাং আংশিক ভারস’মোর ক্ষেত্রে অর্থ স্থা! এ এক বিশেষ অংশের চিত্র পাওয়া যায়। কিন্তু সামগ্রিক জারসামের ক্ষেত্রে অর্থব্যবস্থার একটি আর্থিক চিত্র পাওয়া যায় ।

৪. আয়ের স্রোত (Circular flow of Income): হহনৈতিক কাকর্মের হলে দ্রব্য ও সেনা উৎপাদন হয়ে থাকে এবং এই অর্থনৈতিক কাজকর্ম যাঝে সৃষ্টি হয়। এই আয় সৃষ্টি একটি । বৃত্তাকারে প্রবাহিত হয়। এই বৃত্তাকার ঋণ বে। না হয় তার বৃত্রাত্র | সমাজে বিভিন্ন শ্রেণীর মানুষ যে অনিতিক ব্যাঞ্জকর্ম করছে, তাদের দুটি শ্রেণীতে ভাগ করা যেতে পারে।একটি হল পরিবার (Household) এবং অপরটি হল উৎপাদন প্রতিষ্ঠান বা ফার্ম (Firm)।
অর্থ বিজ্ঞালে মায়ের কাছ থেকে পরিবারের কাছে এবং পরিবারের কাছ থেকে ফার্মের কাছে প্রবাহিতহচ্ছে, সোর্ট আয়ের ওতেন মাধ্যমে ব্যাখ্যা করা হচ্ছে।

৫. কাম্যস্তর (Optimum Level) : অর্থনীতির একটি গুরুত্বপূর্ণ মৌলিক ধারণা হল কায্যন্তর। = ৪ অর্থনৈতিক এককগুলি নিজস্ব সীমাবদ্ধতার মধ্যে অবস্থান করে নির্দিষ্ট উদ্দেশ্যপূরণ করার জন্য কাজ করে থাকে। যে স্তরে নির্দিষ্ট উদ্দেশ্যপূরণ সম্ভব হয় সেই স্তরকেই বলা হয় কাম্যস্তর। যেমন, ক্রেতার উদ্দেশ্য যদি হয় সর্বাধিক তৃপ্তি বা উপযোগিতা অর্জন করা, তাহলে যে পরিমাণ ভোগের স্তরে ক্রেতা সর্বাধিক তৃপ্তি অর্জন করে, সেই স্তরকেই বলা হয় ভোগের কাম্যত্তর। কাম্যস্তরের ধারণা ভোগের ক্ষেত্র ছাড়াও উৎপাদনের ক্ষেত্রে, সঞ্চয়ের ক্ষেত্রে, বিনিয়োগের ক্ষেত্রেও গুরুত্বপূর্ণ।

৬. অর্থব্যবস্থা (Economic System): যে ব্যবস্থা মানুষের মৌলিক সমস্যা সমাধানের জন্য উপাদান সংগ্রহ ও বণ্টনের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করে, তাকে বলে অর্থব্যবস্থা। অর্থব্যবস্থাকে মূলত দুটি ভাগে ভাগ করা যায়। একটি হল ধনতান্ত্রিক অর্থব্যবস্থা এবং অপরটি হল সমাজতান্ত্রিক অর্থব্যবস্থা। যে অর্থব্যবস্থায় উৎপাদনের উপাদানসমূহের উপর ব্যক্তিগত মালিকানা বজায় থাকে এবং উৎপাদন ও বণ্টনের কাজ ব্যক্তিমালিকানার ভিত্তিতে সংগঠিত হয়, সেই অর্থব্যবস্থাকে ধনতান্ত্রিক অর্থব্যবস্থা বলে। এই ধরনের অর্থব্যবস্থা মূলত দাম ব্যবস্থার মাধ্যমেই পরিচালিত হয়। অপরপক্ষে যে অর্থব্যবস্থায় উৎপাদনের উপাদানসমূহের উপর ব্যক্তিগত মালিকানার অবসান ঘটিয়ে সামাজিক মালিকানায় উৎপাদন ও বণ্টনের কাজ সংগঠিত হয়, সেই অর্থব্যবস্থাকে সমাজতান্ত্রিক অর্থব্যবস্থা বলে।

ধনতান্ত্রিক অর্থব্যবস্থা ও সমাজতান্ত্রিক অর্থব্যবস্থার গুণাবলীর সংমিশ্রণে যে অর্থব্যবস্থা গড়ে উঠেছে, তাকে বলা হয় মিশ্র অর্থব্যবস্থা বা মিশ্র অর্থনীতি। অর্থাৎ যে অর্থব্যবস্থায় বেসরকারি ক্ষেত্রের পাশাপাশি পরিকল্পিত অর্থনীতির সরকারি ক্ষেত্রের সহাবস্থান ঘটে, সেই অর্থব্যবস্থাই হল মিশ্র অর্থব্যবস্থা।

Leave a Comment