Market Perfect Competition
আধুনিক অর্থব্যবস্থার প্রাণকেন্দ্র হল বাজার (Market Perfect Competition)। সাধারণ ভাষায় যে স্থানে ক্রেতা ও বিক্রেতাদের মধ্যে।নিয়সিত দ্রব্যসামগ্রী কেনা-বেচা হয়ে থাকে, তাকে বাজার বলে। অর্থনীতির বাজারের ধারণা এই সাধারণ ভাষার বাজারের ধারণা থেকে কিছুটা আলাদা। দ্রব্যসামগ্রী এবং উপাদানের ক্রেতা ও বিক্রেতাদের মধ্যে ঐতিহাসিক বিবর্তনের মাধ্যমে যে সামাজিক সম্পর্ক বা সামাজিক প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠেছে, অর্থনীতিতে তাকে বাজার বলে।
এই প্রসঙ্গে বলা যায় যে, বাজারের কতকগুলি উপাদান বা বৈশিষ্ট্য আছে। উপাদানগুলি নীচে উল্লেখ করা হল:
(১) বাজারের জন্য বিশেষ দ্রব্য বা বিশেষ উপাদান থাকবে। পৃথক পৃথক দ্রব্যের জন্য পৃথক পৃথক বাজারকে বোঝায়। যেমন—গমের বাজার, পাটের বাজার ইত্যাদি। আবার পৃথক পৃথক উপাদানের জন্য পৃথক পৃথক বাজারকে বোঝায়। যেমন—শ্রমের বাজার, মূলধনের বাজার ইত্যাদি।
(২) সংশ্লিষ্ট দ্রব্য বা উপাদানের ক্রেতা ও বিক্রেতা থাকা প্রয়োজন। সংশ্লিষ্ট দ্রব্য বা উপাদানটি ক্রেতারা চাহিদা করবে এবং বিক্রেতারা যোগান দেবে।
(৩) সংশ্লিষ্ট দ্রব্য বা উপাদানটির দাম থাকবে। ঐ দাম অনুসারে দ্রব্য বা উপাদানটির কেনা-বেচা হতে থাকবে।
(৪) সংশ্লিষ্ট দ্রব্য বা উপাদানটির ক্রেতা ও বিক্রেতাদের মধ্যে বিনিময় বা লেনদেনের সম্পর্ক থাকবে।
(৫) সংশ্লিষ্ট দ্রব্য বা উপাদানটির একটি মাত্র লেনদেন না ঘটে লেনদেনের প্রবাহ থাকবে। বিভিন্ন ধরনের বাজারের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল পূর্ণাঙ্গ প্রতিযোগিতামূলক বাজার। এই অধ্যায়ে পূর্ণাঙ্গ প্রতিযোগিতামূলক বাজার এবং এই বাজারের সাথে সম্পর্কিত বিষয়ের বিভিন্ন দিক থেকে আলোচনা করা যে বাজারে অসংখ্য ক্রেতা ও বিক্রেতা পরস্পর প্রতিযোগিতার মাধ্যমে একটি সমজাতীয় দ্রব্য কেনা-বেচা করে, সেই বাজারকে পূর্ণাঙ্গ প্রতিযোগিতামূলক বাজার বলে।
রেভিনিউ বা বিক্রয়লব্ধ আয় সংক্রান্ত বিভিন্ন ধারণা (Different Concepts of Revenue) :
উৎপাদন প্রতিষ্ঠান বা ফার্ম তার দ্রব্য বাজারে বিক্রি করে যে অর্থ পায়, তাকে ফার্মের রেভিনিউ বা বিক্রয়লব্ধ আয় বলে। বিক্রয়লব্ধ আয়ের বিভিন্ন ধারণার মধ্যে তিনটি ধারণা অর্থনীতিতে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এই তিনটি ধারণা হল মোট বিক্রয়লব্ধ আয় (Total Revenue), গড় বিক্রয়লব্ধ আয় (Average Revenue) এবং প্রান্তিক বিক্রয়লব্ধ আয় (Marginal Revenue)। এই তিনটি ধারণা সম্পর্কে আলোচনা করা হচ্ছে।
(ক) মোট বিক্রয়লব্ধ আয় (Total Revenue) : একটি ফার্ম তার দ্রব্য একটি নির্দিষ্ট দামে বাজারে বিক্রি করে যে মোট অর্থ পেয়ে থাকে, তাকে বলে মোট বিক্রয়লব্ধ আয়। বিক্রয়ের মোট পরিমাণকে প্রতি একক দ্রব্যের দাম দিয়ে গুণ করলে যা পাওয়া যায়, সেটাই হল মোট বিক্রয়লব্ধ আয়।
(খ) গড় বিক্রয়লব্ধ আয় (Average Revenue) : কোনো ফার্য তার দ্রব্য বাজারে বিক্রি করে প্রতি এককের জন্য যে পরিমাণ অর্থ পেয়ে থাকে, তাকে বলে গড় বিক্রয়লব্ধ আয়। অর্থাৎ ফার্মের মোট বিক্রয়লব্ধ আয়কে বিক্রয়ের পরিমাণ দিয়ে ভাগ করলে যা পাওয়া যায়, তাকে বলে গড় বিক্রয়লব্ধ আয়।
(গ) প্রান্তিক বিক্রয়লব্ধ আয় (Marginal Revenue) : কোনো ফার্ম অতিরিক্ত এক একক দ্রব্য বাজারে বিক্রি করে যে অতিরিক্ত মোট বিক্রয়লব্ধ আয় পেয়ে থাকে, তাকে বলে প্রান্তিক বিক্রয়লব্ধ আয় Market Perfect Competition।